সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলল ভারত

 

                 ফারাক্কা বাঁধ। ফাইল ছবি


ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও। বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। 

সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। 

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাত ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিল ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে সাফ ফাইনালে বাংলাদেশ

 


সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ নেপালের কাঠমান্ডুতে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ভারতের হারায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন মোঃ আসিফ। টাইব্রেকারে আসিফই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। ভারতের প্রথম শটই তিনি প্রতিহত করেন। তাই টাইব্রেকারে শুরু থেকে বাংলাদেশ লিডে ছিল। বাংলাদেশ টানা চার শটে গোল করে ভারতকে চাপে রাখে। পঞ্চম শটে ভারতকে গোল করতেই হতো। প্রথম শটের মতো পঞ্চম শটও ঠেকিয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত করেন গোলরক্ষক আসিফ।

এর আগে ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ভারত তুলনামূলক বেশি আক্রমণ করলেও ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে গোল পায়নি। অন্য দিকে বাংলাদেশ একটি দুর্দান্ত সংঘবদ্ধ আক্রমণে লিড নেয়। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ভারতীয় গোলরক্ষক পুরোপুরি সেভ করতে পারেননি। পোস্টের সামনে থাকা আসাদুল মোল্লা ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং করে বল জালে পাঠান।

প্রথমার্ধে বাকি সময়ে বাংলাদেশ লিড বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। ভারতও সমতা আনার সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে ৪৫ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৫ মিনিটেও ম্যাচের স্কোরলাইন পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের রক্ষণভাগ দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙে পড়ে। ভারত একাধিকবার বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করে প্রবেশ করেছিল। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ বেশ কয়েকবার এগিয়ে এসে বল মিস করেছেন। ৬৫ মিনিটের দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সিনিয়র জাতীয় দলে খেললেও শ্রাবণ আজ একেবারেই নড়বড়ে ছিলেন।

গোলরক্ষক বদলের পর বাংলাদেশ গোল হজম করে। এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে জটলায় ভারত ৭২ মিনিটে সমতা আনে। সমতা আনার পর ভারত বাংলাদেশের উপর আরো চাপ বাড়ায়। বাংলাদেশ রক্ষণে মনোযোগ দিয়ে সময় শেষে মনোযোগ দেয়। ইনজুরি সময় পাঁচ মিনিটের মাঝামাঝি বাংলাদেশ কর্ণার পায়। সেই কর্ণার অবশ্য ভীতিকর ছিল না। উল্টো তর্কে জড়িয়ে বাংলাদেশের ফুটবলার শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন। নির্ধারিত সময়ে ড্রয়ের পর টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়।


রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রথমবার ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

 

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রথমবার ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস।


জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ দেবেন তিনি।  

তাঁর এই ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই জাতির উদ্দেশে তাঁর প্রথম ভাষণ।

৮ আগস্ট বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।

৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওইদিন রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সময় তিনি প্যারিসে ছিলেন। 

দায়িত্ব গ্রহণের আগের দিন বক্তৃতায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যেন না হয়। দেশবাসী যদি আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন দেশের কোনো জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না।

ওই দিন তিনি বলেন, আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণ সমাজ তাদের প্রতি আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে।

১৮ আগস্ট দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন। সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের সব শেষ হয়ে গেছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। পাতানো নির্বাচন হয়েছে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে। রাজনৌতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে। ঠিক করতে সময় লাগবে। আশা করি, নতুন বাংলাদশ তৈরিতে সবাই পাশে থাকবেন। 


শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের গেট


 টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯০০০ কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানি বিদুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের।

গতকাল বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র এই তথ্য নিশ্চিত করে। 

এর আগে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শনিবার সন্ধ্যায় ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়। তাই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪

বন্যাদুর্গত এলাকায় ফ্রি মিনিট-ইন্টারনেট ঘোষণা অপারেটরদের

 

বন্যা কবলিতদের ফ্রি মিনিট-ইন্টারনেট দিচ্ছে ৪ অপারেটর। ছবি: সংগৃহীত


ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী, নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা। এসব এলাকার বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ফ্রি টকটাইম এবং ইন্টারনেট সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে দেশের ৪টি অপারেটর।

বুধবার (২১ আগস্ট) দেশের অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি এবং এয়ারটেলের পক্ষ থেকেই এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।


গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে আছি আমরা সবাই। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যাকবলিত এলাকায় সবার যোগাযোগ রক্ষায় ১০ মিনিট ও ৫০০ এমবি ফ্রি দেয়া হয়েছে। মেয়াদ দেয়া হয়েছে ৩ দিন। এটি পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের ডায়াল করতে হবে *১২১*৫০৫০#।
বাংলালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত মানুষদের জরুরি প্রয়োজনে কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে সবসময় কানেক্টেড থাকতে বাংলালিংক আছে দুর্গতদের পাশে। এই দুঃসময়ে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য ২১ আগস্ট থেকে পাচ্ছেন ফ্রি ১০ মিনিট টকটাইম ও ৫০০ এমবি, মেয়াদ ৩ দিন। সুবিধাটি পেতে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের *১২১*৯০০*৩# ডায়াল করতে হবে।
রবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংকটপূর্ণ যেকোনো মুহূর্তে রবি আছে গ্রাহকদের পাশে। সাম্প্রতিক বন্যায় দুর্গতদের পাশে আছি আমরা। বন্যাকবলিত এলাকায় সবার যোগাযোগ রক্ষায় ৩ দিন মেয়াদে ২৫০ এমবি ও ২০ মিনিট ফ্রি দেয়া হচ্ছে। সুবিধাটি পেতে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের *২১২*১# ডায়াল করতে হবে এবং অফারটি আপনার জন্য প্রযোজ্য কিনা জানতে ডায়াল *৮৮৮#। অফারটি একবারই উপভোগ করা যাবে।

বন্যায়কবলিত বন্ধুদের পাশে আছি সবসময় এমন ঘোষণা দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্র্যান্ড এয়ারটেল। তারাও ৩ দিন মেয়াদে বিনামূল্যে ২০ মিনিট ও ২৫০ এমবি ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই অফারটি গ্রাহকরা নিতে পারবেন একবারই। সেজন্য ডায়াল করতে হবে *২১২*১#।

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে ‘সেনাগৌরব পদক’ পেলেন আলোচিত ক্যাপ্টেন আশিক


 ১২ টা ২০ মিনিট, ১৮ আগস্ট ২০২৪



পেশাদারিত্ব এবং ধৈর্যের পরিচয় দেয়ায় সেনাগৌরব পদক (এসজিপি) অর্জন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলোচিত ক্যাপ্টেন আশিক।


 রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের কার্যালয়ে গেলে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

 
এ সময় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান তিনি। তাকে ভবিষ্যতের জন্যও অনুপ্রাণিত করেন সেনা প্রধান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন।

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

মাঙ্কিপক্স কী, কীভাবে ছড়ায়? লক্ষণগুলো কী?


আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থেকে আফ্রিকার কিছু অংশে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।


• এমপক্স কী এবং এর লক্ষণগুলো কী?

গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এমপক্স সাধারণত অনেক কম ক্ষতিকারক। প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের দেহে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা।

আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক। এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

• কোন কোন দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়েছে?

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মতো পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট সমৃদ্ধ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এমপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই অঞ্চলগুলোতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হয় আর শত শত মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা।

বর্তমানে অনেকগুলো দেশে বিভিন্ন প্রাদুর্ভাব একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কঙ্গো এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে। রোগটি সম্প্রতি বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়াতে দেখা গেছে; যা সাধারণত সেখানে দেখা যায় না।

মোটাদাগে এমপক্সের দুটি ধরন রয়েছে; ক্লেড ১, যা সাধারণত আরও গুরুতর হয় এবং ক্লেড ২। ক্লেড ১ ভাইরাস কয়েক দশক ধরে কঙ্গোতে বিক্ষিপ্ত প্রাদুর্ভাবের কারণ ছিল এবং এখন ছড়িয়ে পড়া ধরনটিও এটি।

ক্লেড ১’র কিছু ধরনে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত বছর সংক্রামিত অনেকের তুলনামূলকভাবে নতুন ও আরও গুরুতর ধরনের এমপক্স ক্লেড ১বি হওয়ায় এনিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লেড ১বি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা বাকি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি সম্ভবত আগের ধরনের চেয়ে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে আরও গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২২ সালে এমপক্সের মৃদু ধরন ক্লেড ২’র কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।

এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো যে দেশগুলোতে সাধারণত এই ভাইরাস দেখা যায় না এমন প্রায় ১০০টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

• এমপক্স কীভাবে ছড়ায়?

এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেওয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে। বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন।

২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

ছোট শিশুসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের মধ্যে এমপক্স পাওয়া গেছে।

• সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা?

রোগের উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবারের সদস্যসহ তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সে সম্পর্কে আরও বুঝতে বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের মধ্যে অল্পবয়সী শিশুরা থাকতে পারে। কারণ একদিকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, অন্যদিকে অঞ্চলটির অনেকরই পুষ্টির অভাব রয়েছে। ফলে রোগের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করা বেশি কঠিন হয়ে যায়।

কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ছোট শিশুরা যেভাবে ঘনিষ্ট হয়ে খেলাধুলা করে এবং একে অপরের সঙ্গে মেশে তার কারণে ঝুঁকিতে থাকতে পারে। এমনকি চার দশকেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুটিবসন্তের টিকাও তারা পাচ্ছে না। ফলে আগের টিকা পাওয়ার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো কিছুটা সুরক্ষিত।

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যে কারোই, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকি রয়েছে। এর থেকে বাঁচতে এমপক্সে আক্রান্ত কারও সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে এবং ভাইরাসটি যদি আশেপাশের কারও থাকে, তবে সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

সব ক্ষত সেরে না যাওয়া পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা উচিৎ। ডব্লিএইচও বলছে, সুস্থ হওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন সম্পর্কের সময় সতর্কতা হিসেবে কনডম ব্যবহার করা উচিৎ।

• এমপএক্সের টিকা আছে?

এমপএক্সের টিকা আছে। তবে যারা ঝুঁকিতে আছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকছে কেবল তারাই এটি পেতে পারে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের প্রয়োজন তাদের সবার কাছে টিকা পৌঁছানোর মতো পর্যাপ্ত তহবিল নেই।

এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হলেও জরুরি ব্যবহারের জন্য এমপক্সের টিকাগুলো দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

আর এখন যেহেতু আফ্রিকার সিডিসি মহাদেশব্যাপী ‘জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা করেছে, আশা করা যায় এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারগুলো আরও ভালভাবে সমন্বয় করতে সক্ষম হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা সরবরাহ এবং সহায়তার প্রবাহকে সম্ভাব্য পরিমাণে বাড়াবে। বৈশ্বিক কোনো পদক্ষেপ ছাড়া বর্তমান প্রাদুর্ভাব মহাদেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ রয়েছে। বিবিসি বাংলা।


দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাঈদীর খুনের বদলা নেব : মাসুদ সাঈদী

  প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৮ এএম|

আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মাসুদ সাঈদী।

জামায়াতে ইসলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করে এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খুনের বদলা নেব বলে মন্তব্য করেছেন তার ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরস্থ আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার আমার আব্বাকে কারাগার থেকে টেনে হাসপাতালে এনে মাত্র ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ব্যাবধানে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আমরা আব্বাকে দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওই হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরেছি কেঁদেছি। একটিবারের জন্য স্বাক্ষাৎ করতে চেয়েছি। কিন্তু ওই আমাদের স্বাক্ষাৎ করতে দেয়নি। তাকে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আব্বার মুখের শেষ কথাটাও শুনতে পারি নাই।

এ সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী বলেন, গত ১৫ বছর বুকে পাথর চেপে থাকা এই সরাকারের কারণে আমরা ঘরের ভেতরেও কথা বলার সুযোগ পাইনি। এই নিরাপরাধ ব্যক্তিকে (সাঈদী) ১৩টি বছর কারাগারের মধ্যে বন্দি রেখে তাকে শেষ পর্যন্ত ফাঁসি দিতে পারে নাই। তারপর তাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নিয়ে তাকে হত্যা করে।

আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামীম সাঈদীর সভাপতিত্বে শনিবার বিকেলে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের এ সভায় পিরোজপুরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। বিকেল ৪টার আগেই পিরোজপুর সাঈদী ফাউন্ডেশনের মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।

পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক ও পৌর আমির আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা ফখরুদ্দীন আল রাজী, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ, যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমিশনার আব্দুস সালাম বাতেন, যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মুনানসহ আরও অনেকে।

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪

সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহত এক শিশুর করুণ দৃশ্য ভিডিওতে।

 Graphic Warning ⚠️


শরীরের উপরের অংশ আলাদা, দুই পা আলাদা। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহত এক শিশুর করুণ দৃশ্য ভিডিওতে। বোমা হামলায় শিশুটির শরীরের উপরের অংশ গাছে ঝুলে ছিল, পা দুটি আলাদা আলাদাভাবে মাটিতে পাওয়া যায়।
 

ভারতীয় চিকিৎসক মৌমিতা হত্যার বিচার চেয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন

 


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণের পর হত্যাকে ঘিরে ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

 শুক্রবার (১৬ই আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘উই আর মৌমিতা’ শীর্ষক কর্মসূচি পালিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মহিউদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লার তনু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এবং কলকাতার মৌমিতাকে ধর্ষণের পর হত্যার কারণ হিসেবে ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যবস্থা দায়ী।

 দেশে ঘটে যাওয়া সমস্ত ধর্ষণ এবং হেনস্তার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আনিকা তাহসিনা বলেন, কলকাতায় ঘটে যাওয়া মৌমিতা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে আমরা ঘৃণ্যভাবে দেখি। আমরা এই বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা এবং এর বিচারের দাবি জানাই। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে নারীদের যেসব ধর্ষণ ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই। আমরা এই আস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে রাখি। আশা করি তারা এই আস্থা ধরে রেখে এসব মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে। 

 

রংপুর কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, কারারক্ষীদের ফাঁকা গুলি

 


রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। রংপুরের জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের ভেতরে অবস্থান করছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলা সোয়া ১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরের গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে মেডিকেল মোড়ে অবস্থানরত একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। এ সময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হয়। সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।’

বেলা সোয়া ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় কারাগারের ভেতর থেকে কয়েদিদের স্লোগান শোনা যাচ্ছিল।

গোলাগুলির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে ছুটে আসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।


বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪

জাপানের ক্ষমতায় কেন বদল, কে হবেন প্রধানমন্ত্রী

 আশিক মিডিয়া ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ছবি: রয়টার্স


কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবিতে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও তৎপরবর্তী পুনর্গঠণ প্রক্রিয়ার দিকেই সবার মনোযোগ। এর মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ সরে যাওয়ার ঘোষণা কিছুটা আড়ালেই পড়ে গেল। অথচ জাপানের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন অকস্মাৎ ঘোষণা আগ্রহ তৈরির জন্য যথেষ্ট। প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে, কী হলো জাপানে?

বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দেন, আগামী মাসে তিনি পদত্যাগ করবেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে ক্ষমতায় আসা কিশিদা শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার ঘাটতিতে ভুগছিলেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এই নেতা বেশ কিছু কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষত কোরিয়াভিত্তিক ইউনিফিকেশন চার্চের সাথে এলডিপির সম্পর্ক, গত নভেম্বরে ওঠা রাজনৈতিক তহবিল নিয়ে বিতর্ক এবং ২০২২ সালের জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যাকাণ্ড তাঁকে নিয়ে সমালোচনার পালে হাওয়া দেয়।

কিশিদা এসব বিতর্কের মুখে চুপ করে ছিলেন না। অনেকটা কঠোর শাসকের মতোই নিজের বিরোধীদের দমন করেছেন তিনি। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীলদের তো বটেই নিজ দলের মধ্যে থাকা বিরোধীদেরও দমন করেছেন। তাঁর চাপে চার মন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন। একই সময়ে আইনসভার এলডিপির ৮০ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে কিশিদাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তবে দেশটির সরকারি আইনজীবীরা প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ও এলডিপির সাত জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে চাননি। কারণ হিসেবে বলা হয়, যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মাত্র তিনমাস আগেই কিশিদা ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি সরে দাঁড়াবেন না। বরং দুর্নীতি‑বিরোধী অভিযান ও রাজনৈতিক সংস্কার চালাবেন। এরই অংশ হিসেবে গত জুনে জাপানের আইনসভা ডায়েটে রাজনৈতিক তহবিল নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি প্রস্তাব আনে এলডিপি। তবে বিরোধীরা এই উদ্যোগকেও ‘যথেষ্ট নয়’ বলে উড়িয়ে দেয়। এর সাথে যুক্ত হয় গত মাসে দেশটি মেরিটাইম সেলফ‑ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য বিষয়ক এক অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন, যা কিশিদা সরকারকে আরও বিপদে ফেলে।

দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যাবতীয় বিষয়ের প্রভাব পড়ে কিশিদার জনপ্রিয়তায়। জুলাইয়ের শেষে হওয়া এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের ৭৪ শতাংশই আগামী সেপ্টেম্বরে এলডিপির নেতৃত্বের নির্বাচনের পর কিশিদাকে দলটির প্রধান হিসেবে দেখতে চান না। আর আগামী মাসেই ডায়েটে থাকা এলডিপি সদস্যদের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে এই জনমত জরিপ ও আসন্ন ভোট–দুই মিলিয়ে কিশিদা নিজের থেকে যাওয়ার পক্ষে বড় কোনো সমর্থন পাননি। এরই জেরে পদত্যাগের ঘোষণা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

কিশিদা তো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন, কিন্তু কে হবেন তাঁর স্থলাভিষিক্ত? এরই মধ্যে এলডিপির মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দেখা মিলছে। দ্য কনভারসেশন জানায়, এ তালিকায় আছেন শিগেরু ইশিবা, তোশিমিতসু মোতেগি ও তারো কোনো। এর মধ্যে দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন শিগেরু ইশিবা। বর্তমান এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলডিপির মহাসচিবের পদে আছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে। সাথে আছে আরেক প্রভাবশালী নেতা ইয়োশিহিদে সোগার সমর্থন। ইশিবা এরই মধ্যে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা করেছেন।

তালিকায় থাকা তোশিমিতসু মোতেগি ও তারো কোনো রয়েছেন আলোচনায়। এর মধ্যে তারো কোনো এলডিপির নেতৃত্বের জন্য কিশিদার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে লড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ডিজিটালমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। দুজনের কেউই অবশ্য এখনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। আলোচনায় রয়েছে অর্থনৈতিকা নিরাপত্তা মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া। তাঁদের দুজনের কেউ প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হলে জাপান পাবে তাদের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ১২৬ টি দেশের জন্য পাকিস্তানের ভিসা ফ্রি

 


ভ্রমণ প্রেমিদের জন্যে সুখবর পাকিস্তানের ফ্রি ভিসা পাবে ১২৬ দেশ, তালিকায় বাংলাদেশও। ১২৬টা দেশের জন্যে ভিসা করে দেয়া হয়েছে বিনামূল্যে! অনলাইনে একদম সহজ ৩০ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হয়ে যাবে ই-ভিসা। খবর ভিসা নিউজ ডট কমের।

গত জুলাই পাকিস্তান ভিসা কর্তৃপক্ষ ১২৬ দেশের জন্য এমনি একটি ঘোষণা আসতে পারে বলে জানায়। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সকলের কাছে এ নতুন ভিসা নীতি উন্মোচন করেন। 

তিনি বলেন, আজ ১৪ আগস্ট থেকে ১২৬টি দেশের দর্শনার্থীদের জন্য ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) ফি বাতিল করা হয়েছে এবং আবেদন প্রক্রিয়াও খুব সহজ করা হয়েছে। দেশগুলো থেকে ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক উভয় কাজেই বিনামূল্যে ৯০ দিনের ভিসা পাওয়া যাবে।

এছাড়া মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান ও কাতারের নাগরিকরা পাকিস্তানে প্রবেশ করে পাসপোর্ট দেখানোর মাধ্যমেই অন-এরাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন।


বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে বাড়ছে ইলিশের দাম

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক



সুস্বাদু মাছ ইলিশের মৌসুম চলছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ ‘উপহার’ যাওয়াটা ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবস্থার বদল হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানি বন্ধ। এমন অবস্থায় ভারতের বাজারে এই মাছটির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার অবৈধপথে ভারতে যাওয়া কিছু মাছ আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

এছাড়া শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে ভারতের বাজারে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার জনপ্রিয় মাছের বাজারগুলো চলতি বর্ষায় ‘বেস্ট সেলার’ পদ্মা নদীর ইলিশের সংকটে পড়েছে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। তবে এই মাছটি সীমান্তের অপর পাশে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের মানুষের কাছেও হট ফেভারিট।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের সিংহভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া দুর্গা পূজাকে ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও ইলিশ মাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।

শঙ্কর পাল নামে কলকাতার এক মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, ‘বাংলাদেশি ইলিশের সরবরাহে আকস্মিক পতন ঘটেছে, তাই দাম বাড়বে। আমরা ইতোমধ্যেই এক কেজি ইলিশ ১৮০০ রুপিতে বিক্রি করছি, যা অবৈধভাবে আসছে।’

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিখ্যাত ইলিশ কূটনীতির অংশ হিসাবে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে বার্ষিক ইলিশ রপ্তানির সুবিধা দিতেন। ২০১২ সাল থেকে অন্যান্য দেশে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে মাছ বিক্রির অনুমতি দিতো হাসিনার সরকার।

এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরে ইলিশ সরবরাহের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে ত্রিপুরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটি পদ্মার ইলিশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা এবং সেখানে সুস্বাদু এই খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আগরতলার মাছ বিক্রেতা তাপস সরকার বলেন, ‘সরবরাহ কমে গেছে তাই আমাদের দাম বাড়াতে হবে।’

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

 

আপডেট, সকালঃ ৮.৪৫ মিনিট আগস্ট ১২, ২০২৪


ঢাকা:
 অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।

বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা।  

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না।


পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে।

কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।  

(মোঃ আশিকুর রহমান) 

আমি শিগগিরই দেশে ফিরব : শেখ হাসিনা

 

আমি শিগগিরই দেশে ফিরব :

 শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান। গণভবন থেকে পালানোর আগে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছাত্র জনতা তার বাড়ির কাছে পৌঁছে যাওয়ায় সেই সুযোগ পাননি। এরবদলে নিরাপত্তাবাহিনী তাকে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেয়।
তবে দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা নাকি বলে গেছেন তিনি আবারও দ্রুত ফিরে আসবেন। হাসিনার এক ঘনিষ্ট সহযোগী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউকে এ তথ্য জানিয়েছেন

হাসিনা বলেছেন, “আশা হারাবেন না। আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আমি হেরে গেছি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জিতেছে। যাদের জন্য আমার বাবা ও পরিবার নিহত হয়েছে।”

এদিকে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সাতদিন পর নিরবতা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন হাসিনা। বার্তাটি দ্য প্রিন্ট দেখেছে বলে দাবি করেছে।


সেখানে হাসিনা বলেছেন, “আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন এবং বঙ্গোপসাগর আমেরিকার কাছে ছেড়ে দিতাম। আমি পদত্যাগ করেছি যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। তারা আপনাদের (ছাত্রদের) লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, আমি তা করতে দেইনি। হয়তো আজ যদি আমি দেশে থাকতাম তাহলে আরও প্রাণহানি হতো, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত।”

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহব্যাপী ছাত্র বিক্ষোভে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অন্যান্য আরও দেশ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, এই সরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা করে।

সুত্র ঃ নিউজ নিউ





৩০ জিবি এমবি ফ্রি দিচ্ছে।

 Offer!Offer!Offer! শেখ হাসিনার পদত্যাগ উপলক্ষে ড মুহাম্মদ ইউনুস সবাইকে ৩০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রী দিচ্ছে৷  

তাই offer পাওয়ার জন্য নিচের claim বাটন এ ক্লিক করুন।



বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪

শুক্র ও শনিবার দিনে ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলো গ্রামীণফোন

 

কোনো ধরনের রিচার্জ কিংবা প্যাক কেনা ছাড়াই ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এই সুযোগের আওতায় আজ (শুক্রবার) এবং আগামীকাল (শনিবার) সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা করে মোট ২৪ ঘণ্টা গ্রামীণফোন গ্রাহকরা পুরোপুরি বিনামূল্যে ইন্টারনেট চালাতে পারবেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোম্পানির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ইন্টারনেট ফ্রি। ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।’

আরও বলা হয়েছে, এই সুবিধা ভোগ করতে কোনো রিচার্জ লাগবে না। তবে এটি শুধুমাত্র ৯ ও ১০ আগস্টের জন্য প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। এছাড়া এখন বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডাটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে- গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক৷

ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদী


 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে শুভেচ্ছে জানান তিনি।

পোস্টে নরেন্দ্র মোদী বলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শুভেচ্ছা রইলো। বাংলাদেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাবে বলে আমরা আশা করি। পাশাপাশি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিতেরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভারত উভয় দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সোয়া নয়টার পর বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাকি তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাহিরে থাকায় এদিন শপথ নিতে পারেননি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।

এছাড়াও বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। শপথ শুরুর আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বঙ্গভবনে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

বাকি ১৬ জন উপদেষ্টা হলেন-ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক); ড. আসিফ নজরুল (অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়); আদিলুর রহমান খান (মানবাধিকার কর্মী); এ. এফ. হাসান আরিফ (সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল); তৌহিদ হোসেন (সাবেক রাষ্ট্রদূত); সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী); শারমিন মুর্শিদ (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রতী); ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক); ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা)।

সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত); বিধান রঞ্জন (চিকিৎসক); ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন (মাওলানা, হেফাজতের সাবেক নায়েবে আমির);  ফরিদা আখতার (উবিনীগ, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা-এর নির্বাহী পরিচালক); নুরজাহান বেগম (গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক); মো. নাহিদ ইসলাম (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)।


বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪

ড. ইউনূসকে নিয়ে কী বলছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা?

 

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতের সাবেক কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ড. ইউনূসই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প।

ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি হলেন অ্যাসপিরেশনাল ব্যক্তিত্ব, তাকে দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়।’

শ্রীরাধার মতে, ‘ইউনূসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প।’

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ড. ইউনূসকে চিনি না। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের বাইরে ছিলেন। আর ভারতের মনোভাবের কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’

সাবেক আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় একসময় বাংলাদেশে ছিলেন। এই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞও জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। শান্তনু মনে করেন, ‘ড. ইউনূস পশ্চিমা দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য। ছাত্ররাও তাকে চাইছে। সেনাবাহিনীর কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য। তিনি ব্যালান্স করে চলতে পারবেন।’

তিনি বলেছেন, ‘তবে ড. ইউনূসের সামনে সবচেয়ে বড় কাজ হলো সহিংসতা বন্ধ করা। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।’

প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরীও মনে করেন, ‘ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেছেন, ‘ড. ইউনূসই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা বিকল্প। তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও দেশের ভেতরে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভারতের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।’

এদিকে বাংলাদেশে এত দ্রুত যে পটপরিবর্তন হবে তা আন্দাজ করতে পারেননি ভারতের এই বিশেষজ্ঞরাও।

রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস বলেছেন, ‘সরকার গঠনের পর অসন্তোষ ছিল, ছাত্ররা অখুশি ছিল, আন্দোলন হচ্ছিল, সেটা সকলেরই জানা। কিন্তু সেই আন্দোলন যে এত দ্রুত এরকম রূপ নেবে তা ভাবা যায়নি।’

শ্রীরাধাও বলেছেন, ‘মনে হয়, ভারত অবাক হয়ে গেছে। ভারত এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না।’

( মোঃ আশিকুর রহমান) 

chelsea vs psg live match today

                                                           chelsea vs psg live match today Introduction:   European football has seen its fa...