রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

 

আপডেট, সকালঃ ৮.৪৫ মিনিট আগস্ট ১২, ২০২৪


ঢাকা:
 অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।

বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা।  

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না।


পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে।

কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।  

(মোঃ আশিকুর রহমান) 

আমি শিগগিরই দেশে ফিরব : শেখ হাসিনা

 

আমি শিগগিরই দেশে ফিরব :

 শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান। গণভবন থেকে পালানোর আগে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছাত্র জনতা তার বাড়ির কাছে পৌঁছে যাওয়ায় সেই সুযোগ পাননি। এরবদলে নিরাপত্তাবাহিনী তাকে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেয়।
তবে দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা নাকি বলে গেছেন তিনি আবারও দ্রুত ফিরে আসবেন। হাসিনার এক ঘনিষ্ট সহযোগী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউকে এ তথ্য জানিয়েছেন

হাসিনা বলেছেন, “আশা হারাবেন না। আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আমি হেরে গেছি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জিতেছে। যাদের জন্য আমার বাবা ও পরিবার নিহত হয়েছে।”

এদিকে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সাতদিন পর নিরবতা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন হাসিনা। বার্তাটি দ্য প্রিন্ট দেখেছে বলে দাবি করেছে।


সেখানে হাসিনা বলেছেন, “আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন এবং বঙ্গোপসাগর আমেরিকার কাছে ছেড়ে দিতাম। আমি পদত্যাগ করেছি যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। তারা আপনাদের (ছাত্রদের) লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, আমি তা করতে দেইনি। হয়তো আজ যদি আমি দেশে থাকতাম তাহলে আরও প্রাণহানি হতো, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত।”

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহব্যাপী ছাত্র বিক্ষোভে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অন্যান্য আরও দেশ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, এই সরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা করে।

সুত্র ঃ নিউজ নিউ





৩০ জিবি এমবি ফ্রি দিচ্ছে।

 Offer!Offer!Offer! শেখ হাসিনার পদত্যাগ উপলক্ষে ড মুহাম্মদ ইউনুস সবাইকে ৩০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রী দিচ্ছে৷  

তাই offer পাওয়ার জন্য নিচের claim বাটন এ ক্লিক করুন।



বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪

শুক্র ও শনিবার দিনে ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলো গ্রামীণফোন

 

কোনো ধরনের রিচার্জ কিংবা প্যাক কেনা ছাড়াই ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এই সুযোগের আওতায় আজ (শুক্রবার) এবং আগামীকাল (শনিবার) সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা করে মোট ২৪ ঘণ্টা গ্রামীণফোন গ্রাহকরা পুরোপুরি বিনামূল্যে ইন্টারনেট চালাতে পারবেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোম্পানির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ইন্টারনেট ফ্রি। ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।’

আরও বলা হয়েছে, এই সুবিধা ভোগ করতে কোনো রিচার্জ লাগবে না। তবে এটি শুধুমাত্র ৯ ও ১০ আগস্টের জন্য প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। এছাড়া এখন বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডাটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে- গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক৷

ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদী


 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে শুভেচ্ছে জানান তিনি।

পোস্টে নরেন্দ্র মোদী বলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শুভেচ্ছা রইলো। বাংলাদেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাবে বলে আমরা আশা করি। পাশাপাশি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিতেরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভারত উভয় দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সোয়া নয়টার পর বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাকি তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাহিরে থাকায় এদিন শপথ নিতে পারেননি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।

এছাড়াও বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। শপথ শুরুর আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বঙ্গভবনে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

বাকি ১৬ জন উপদেষ্টা হলেন-ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক); ড. আসিফ নজরুল (অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়); আদিলুর রহমান খান (মানবাধিকার কর্মী); এ. এফ. হাসান আরিফ (সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল); তৌহিদ হোসেন (সাবেক রাষ্ট্রদূত); সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী); শারমিন মুর্শিদ (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রতী); ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক); ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা)।

সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত); বিধান রঞ্জন (চিকিৎসক); ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন (মাওলানা, হেফাজতের সাবেক নায়েবে আমির);  ফরিদা আখতার (উবিনীগ, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা-এর নির্বাহী পরিচালক); নুরজাহান বেগম (গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক); মো. নাহিদ ইসলাম (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)।


বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪

ড. ইউনূসকে নিয়ে কী বলছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা?

 

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতের সাবেক কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ড. ইউনূসই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প।

ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি হলেন অ্যাসপিরেশনাল ব্যক্তিত্ব, তাকে দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়।’

শ্রীরাধার মতে, ‘ইউনূসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প।’

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ড. ইউনূসকে চিনি না। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের বাইরে ছিলেন। আর ভারতের মনোভাবের কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’

সাবেক আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় একসময় বাংলাদেশে ছিলেন। এই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞও জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। শান্তনু মনে করেন, ‘ড. ইউনূস পশ্চিমা দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য। ছাত্ররাও তাকে চাইছে। সেনাবাহিনীর কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য। তিনি ব্যালান্স করে চলতে পারবেন।’

তিনি বলেছেন, ‘তবে ড. ইউনূসের সামনে সবচেয়ে বড় কাজ হলো সহিংসতা বন্ধ করা। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।’

প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত রায়চৌধুরীও মনে করেন, ‘ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেছেন, ‘ড. ইউনূসই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা বিকল্প। তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও দেশের ভেতরে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভারতের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।’

এদিকে বাংলাদেশে এত দ্রুত যে পটপরিবর্তন হবে তা আন্দাজ করতে পারেননি ভারতের এই বিশেষজ্ঞরাও।

রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস বলেছেন, ‘সরকার গঠনের পর অসন্তোষ ছিল, ছাত্ররা অখুশি ছিল, আন্দোলন হচ্ছিল, সেটা সকলেরই জানা। কিন্তু সেই আন্দোলন যে এত দ্রুত এরকম রূপ নেবে তা ভাবা যায়নি।’

শ্রীরাধাও বলেছেন, ‘মনে হয়, ভারত অবাক হয়ে গেছে। ভারত এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না।’

( মোঃ আশিকুর রহমান) 

bangladesh v hong kong LIVE CRICKET TODAY

bangladesh v hong kong LIVE CRICKET TODAY LINK,,1 https://crichdstreaming.com/player.php?id=willowextra LINK,,, 2. https://crichdstreaming....