সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে সারা বাংলাদেশ


 

  • ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল।

  • ওই বছর কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

  • ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি।

  • রিটের পর চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় গত ৫ জুন।

  • রকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল বুধবার আন্দোলনকারীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দেড় ঘণ্টার মতো অবরোধ করে রাখেন।

  • একই দাবিতে এ দিন আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে রেললাইনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড় সড়ক অবরোধ করেন। বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

    সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরিতে কোটার পরিপত্র বাতিল–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে। কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি রয়েছে। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত হবেন। জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদালতের আদেশ কী হয়, সেটা দেখে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

  • (আশিক মিডিয়া)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মুগ্ধর কথা বলতে গিয়ে লাইভ টকশোতে কাঁদলেন উপস্থাপিকা

আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচটি লাইভ দেখবেন যেভাবে

আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়া ফাইনাল ম্যাচটি দেরিতে শুরু হওয়ার কারন